১। খেজুর পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে ।
২। খেজুর শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে ।
৩। খেজুরের ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে।
৪। খেজুর হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।
৫। খেজুরের শরীরের শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে। এর শতকরা ৮০ ভাগই চিনি। তাই শুকনো খেজুর বা খোরমাকে বলা হয় মরুভূমির গ্লুকোজ।
৬। খেজুরে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সেরোটোনিন নামক হরমোন উৎপাদন করতে সহায়তা করে যা মানুষকে মানসিক প্রফুলতা দেয়। যা মন ভাল রাখতে সহায়তা করে।
৭। খেজুরে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে, তবে শর্ত হচ্ছে খেজুর খাওয়ার সাথে প্রচুর পানিও পান করতে হবে, তবেই উপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে।
৮। খাদ্যে অরুচি দূর করতে সহায়তা করে।
৯। খেজুরে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে সহায়তা করে।
১০। খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
১১। খেজুরে থাকা ডায়েটরি ফাইবার কলেস্টরেল এর সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
১২। খেজুরে আছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার এবং বিভিন্ন অ্যামিনো এসিড যা খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে। তাই বদ হজম থেকে বাচতে খেজুর খুবই উপকারী।
১৩। খেজুর তারুণ্য এবং যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১৪। খেজুরে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে।
খেজুরের ঔষধি গুনঃ
খেজুর বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে যকৃতের সংক্রমণ এবং সর্দি, কাশি, জ্বর প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া বদহজম, উচ্চরক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি সমস্যায় খেজুর উপকারী।
অপকারিতা বা সতর্কতাঃ
খেজুরের অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু কিছু ক্ষত্রে খেজুর গ্রহনে সতর্ক হওয়া উচিত।যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা খেজুর গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তার খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
খেজুরের উপকারিতা

28
Oct